পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
Palong Tulasar Gurudas Govt. High School
পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
Palong Tulasar Gurudas Govt. High School
পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
Palong Tulasar Gurudas Govt. High School
পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
Palong Tulasar Gurudas Govt. High School
তুলাসার গুরুদাস ইংরেজি বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শচীনাথ রায় চৌধুরীর পিতা গুরুদাস রায় চৌধুরীর আদি নিবাস ছিল শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানায়।বরিশালে সুপ্রচুর সম্পত্তির মালিক ছিলেন তিনি।নদী ভাঙ্গনের ফলে তারা সপরিবারে পালং থানা তুলাসার গ্রামে এসে বাড়ি করেন।গুরুদাস বাবু শিক্ষানুরাগী ছিলেন।তিনি এখানে এসে একটি মধ্য ইংরেজি বিদ্যালয় স্থাপন করেন।তার মৃত্যুর পর একমাত্র পুত্র শচীনাথ রায় চৌধুরী ১৮৯৯খ্রিস্টাব্দের ২ রা ফেব্রুয়ারি পিতার নামে বিদ্যালয়টিকে তুলাসার গুরুদাস ইংরেজি উচ্চ বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করেন।তখন তার বয়স ছিল মাত্র ২০/২১ বছর।স্বল্প শিক্ষিত হলেও পিতার ন্যায়বিদ্যানুরাগ জন্মসূত্রে লাভ করেছিলেন শচীনাথ।মাধ্যমিক ইংরেজি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন নবীন চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।শচীনাথ রায় চৌধুরীর পিসিমা (পিতার ভগিনী) ছিলেন অত্যন্ত বুদ্ধিমতি।এরা উভয়েই প্রতিষ্ঠানটিকে ইংরেজি উচ্চ বিদ্যালয়ে উন্নীতকরার কাজে পরামর্শ এবং প্রোৎসাহ দিয়ে সুপ্রচুর সাহায্য করেছিলেন।এই কারণে বিদ্যালয়ের ইতিহাসে তার চির স্মরণীয় হয়ে আছেন।তিনি ১৯০৯ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর তুলাসার গুরুদাস ইংরেজি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।বরিশালের গাভার জমিদার বংশের ভবেশচন্দ্র ঘোষ,তার পূর্ব পর্যন্ত শচীবাবু বিদ্যালয়ের পরিচালনার জন্য অকাতরে অর্থ পরিব্যয় করেছিলেন।প্রথম থেকেই বিদ্যালয়ের গরিব ছাত্রদের থাকা খাওয়ার জন্য একটি বোর্ডিং এর ব্যবস্থা করেছিলেন।তাতেও সুপ্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হতো।এই মাত্রাহীন অর্থব্যয়েতার কোন কোন আত্মীয় এবং বন্ধুবান্ধব তার উপর ক্রমশ বিরুপ হয়ে উঠেছিলেন।কিন্তু তার পিসিমা এবং স্ত্রীর শরৎরানী চৌধুরানীর প্রোৎসাহে তিনি এসব বিরুপ সমালোচনায় একটু ও বিচলিত হননি।সে যুগে দু’জন স্বল্প শিক্ষিতা মহিলার এই শিক্ষানুরাগের কথা ভাবতেও আশ্চর্যন্বিত হতে হয়। ভবেশ বাবুর আমলে বিদ্যালয়টি ক্রমশ আর্থিক ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠে এবং বিদ্যালয়ের আরও শ্রীবৃদ্ধি হয়।ছাত্র সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে।বিদ্যালয়ের আয়েই শিক্ষক সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ করা সম্ভব হয়েছিল।পরীক্ষার ফল আরও ভালো হতে লাগল।পরপর কয়েকজন ছাত্র পরীক্ষায় বৃত্তি লাভ করে। বিদ্যালয়ের এই উন্নতির যুগে আকস্মাৎ ১৯১৭ সালের ১০ইএপ্রিল বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মহান বিদ্যানুরাগী এবং দানশীল শচীনাথ রায় চৌধুরী মহাশয় মাত্র ৩৯ বছর বয়সে বরিশালে ইহলীলা সাঙ্গ করেন।